মাঠে খেলেন ১১ খেলোয়াড়, দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে থাকেন দর্শকরা। ডাকারে সেনেগালও পাশে পেল দর্শকদের, কিন্তু তা হলো নিন্দনীয়। বিশ্বকাপের আফ্রিকান প্লে অফের এই ম্যাচে মিশরের তারকা মোহামেদ সালাহকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল সেনেগালিজ দর্শকরা। শুটআউটের সময় তিনি পেনালি্‌ট নেওয়ার আগে লেজার রশ্মির আলোয় যেন অবগাহন করেন।

এখানেই শেষ নয়, ৩-১ এ শুটআউটে মিশরের হারের পর সালাহকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন বস্তু নিক্ষেপ করেছিল স্বাগতিক দর্শকরা। নিরাপত্তাকর্মীরা বেষ্টনী গড়ে তাকে টানেল দিয়ে ড্রেসিংরুমে দিয়ে আসেন।

প্লে অফের দ্বিতীয় লেগের নির্ধারিত সময় শেষে সেনেগাল ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলে টাইব্রেকারে যায় ম্যাচ, যা ৩-১ গোলে হেরে বাদ পড়ে যায় মিশর। বিশ্বকাপে এবার খেলা হচ্ছে না সালাহর। কিন্তু তার দলের বিদায় ছাপিয়ে আলোচনায় দর্শকদের বিরূপ আচরণ। গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি নেওয়ার সময় ডজনখানেক লেজার রশ্বির আলো ফেলা হয় লিভারপুল ফরোয়ার্ডের মুখে। তার চোখেমুখে বিরক্তির ছাপ দেখা না গেলেও মনোযোগ যে ব্যহত হয়েছিল, তা স্পষ্ট। তার শট ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।

এরপর ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার সময় সালাহকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন বস্তু নিক্ষেপ করে দর্শকরা। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে তাকে নেওয়া হয় টানেলে।

এই ঘটনায় মিশরীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সেনেগালের বিরুদ্ধে আফ্রিকান ফুটবল ফেডারেশন ও ফিফার কাছে ‘বর্ণবাদের’ অভিযোগ দায়ের করেছে। সেখানে বলা হয়েছে সালাহকে লক্ষ্য করে বর্ণবাদী ব্যানার নিয়ে আসে দর্শকরা। ম্যাচ শুরুর আগে তারা মিশরের টিম বাসও ভাঙচুর করে।